স্পোর্টস ডেস্কঃ দুটি বলে কোনও রান না নিলেই ২০ লাখ রুপি পুরস্কার। এমন পুরস্কারের লোভে পড়ে বহিষ্কৃত হলেন পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটার। কারণ পুরস্কার প্রাপ্তির পথ ছিল অবৈধ।
শুক্রবার পাকিস্তান সুপার লিগে পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের খেলায় আবার উঠে এলো স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারি। আর এতে জড়িয়ে বহিষ্কৃত হলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা খালিদ লতিফ ও সারজীল খান।
জুয়াড়িদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার অভিযোগেই প্রথমে বহিষ্কার করা হয় খালিদ ও সারজীলকে। কিন্তু পরে ইসলামাবাদের এ দুই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আনা হয়। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তান সুপার লিগের প্রথম ম্যাচে ২০ লাখ রুপির বিনিময়ে দুটি ডট বলে রাজি হন সারজীল। মাঠে তার বাস্তবায়নও করেন ১টি টেস্ট ও ২৫ ওয়ানডে খেলা এ ওপেনার।
পেশোয়ারের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে প্রথম বলে দৌড়ে একটি রান নেন সারজীল। এর পর দুটি ডট বল খেলে চতুর্থ বলে হাসান আলির কাছে এলবিডব্লিউ হন তিনি। সূত্রগুলো জানায়, দুই খেলোয়াড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা জুয়াড়িও পাকিস্তানের। অবশ্য ওই ম্যাচের দলে ছিলেন না লতিফ।
জুয়াড়িদের সঙ্গে খেলোয়াড়দের এ গোপন লেনাদেনার কথা উদঘাটন করেছে আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিট। তারাই পিসিবিকে এ তথ্য জানায়। পরে পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। আপাতত বহিষ্কার করে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে তাদের পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত করা হবে জানান পিএসএল সভাপতি নাজাম শেঠী ও পিসিবি সভাপতি শাহরিয়ার খান। অভিযোগের সত্যতার ভিত্তিতে খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে প্রমাণ আছে বলে তারা সংবাদমাধ্যমকে জানান। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিচারের কাঠগড়ায় খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়া হবে বলেছেন তারা।
সূত্রঃ ডন, পিকে ন্যাশন।
অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই